বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ
কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বজ্রবৃষ্টির আভাস
টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বজ্রবৃষ্টির আভাস
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ 
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ 
ট্রাম্পের বাণিজ্য বার্তার পর কমলো স্বর্ণের দাম
ট্রাম্পের বাণিজ্য বার্তার পর কমলো স্বর্ণের দাম
সরকারের সুচিন্তিত নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে : প্রেস সচিব
সরকারের সুচিন্তিত নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে : প্রেস সচিব
শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা / শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদেশের দিন ধার্য
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
রেস্ট হাউসে নারীকাণ্ডের সেই ওসি প্রত্যাহার
রেস্ট হাউসে নারীকাণ্ডের সেই ওসি প্রত্যাহার
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
তিন বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ, পাহাড়ধসের শঙ্কা
তিন বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ, পাহাড়ধসের শঙ্কা
নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে এগোবে : মির্জা ফখরুল
নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে এগোবে : মির্জা ফখরুল
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই সনদের জন্য ৫ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে : নাহিদ 

জামায়াত নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চায় : গোলাম পরওয়ার

লরির চাকায় পিষ্ট পিকআপ চালক

সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ 

চল্লিশে পা দিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি

টানা ৫ দিন দেশজুড়ে বজ্রবৃষ্টির আভাস

ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী খুন, আসামি গ্রেপ্তার

কমিটি দিতে আড়াই লাখ দাবি, নেতা বললেন ‘এটা শুধুই মজা’

‘কার্টফেল ক্যোনিগ’ জার্মানির আলুর কিংবদন্তি

সরকারের সুচিন্তিত নীতি-কৌশলের ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে : প্রেস সচিব

১০

মেঘনায় মাছ নেই, কিস্তির চাপে জর্জরিত জেলেরা

১১

হেফাজত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১২

ট্রাম্পের বাণিজ্য বার্তার পর কমলো স্বর্ণের দাম

১৩

ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান

১৪

নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং: উপমা

১৫

শতকোটি টাকার সম্পত্তি আ.লীগ নেতা দুই ভাইয়ের কবজায়  

১৬

নাটক নির্মাণে চিকন আলী 

১৭

ব্রিকসের দেশগুলোর ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্কের হুমকি

১৮

কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

১৯

কোনাল-আমিনুলের ‘আমার কি হও তুমি’ 

২০
খানাখন্দ
খানাখন্দে ভরা সড়কে প্রতিদিনই যুদ্ধ
রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড় থেকে জুরাইন রেলগেট পর্যন্ত গেন্ডারিয়া নতুন সড়কটি প্রথম দেখায় মনে হতে পারে যেন খালে অথৈ পানি। সড়কের জায়গায় জায়গায় গর্তের আকার এত বড় যে—সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় কয়েক ফুট পানির নিচে। ভাঙা সড়কের মাঝেই জলাবদ্ধতা থাকে কয়েকদিন। অবস্থা এমন যে, হেঁটে চলারও সুযোগ নেই। বিকল্প না থাকায় অবর্ণনীয় ভোগান্তি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে লাখো মানুষ। এ ছাড়া একই পথ ব্যবহার করে প্রতিদিন চকবাজার ও বাদামতলীর পাইকারি বাজারে চলাচল করে পণ্যবাহী শত শত ট্রাক। তবে রাস্তার দুপাশের গর্তের কারণে দ্রুতগতিতে চলতে পারে না কোনো যানবাহনই। পথচারীদের ভাষ্য, এ সড়ক যেন নরকে পরিণত হয়েছে। সড়কটি দিয়ে নিত্য চলাচলকারী অফিসগামী পারভেজ হুসাইন দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে কালবেলাকে বলেন, ‘এক ঘণ্টায় এক কদমও নড়ছে না গাড়ি। জ্যামের কারণে দুর্ভোগ তো হচ্ছেই, জলাবদ্ধতার কারণে হেঁটে যাওয়ারও উপায় নেই।’ স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দয়াগঞ্জ থেকে যাত্রাবাড়ী ও দয়াগঞ্জ থেকে জুরাইন—এই দুটি সড়ক তিন-চার বছর ধরে এমন বেহাল অবস্থায় রয়েছে যে, চলতে গিয়ে যানবাহন উল্টে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ নীরব।’ শুধু দয়াগঞ্জের এ সড়কটিই নয়, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন মূল সড়ক থেকে শুরু করে অনেক আবাসিক এলাকাজুড়ে বিভিন্ন সড়কের করুণ দশা। সর্বত্র এবড়োখেবড়ো আর খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অনেক সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় পিচ উঠে গেছে, কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তা উন্নয়নের নামে খনন করে ফেলে রাখা হয়েছে মাসের পর মাস। কোনো কোনো রাস্তার সংস্কারকাজ বন্ধ রয়েছে তারও বেশি সময় ধরে। সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি করায় নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেক সড়কে যান চলাচলও বন্ধ। কিছু সড়কে হেঁটে চলারও সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে ইট-সুরকি বিছিয়ে অস্থায়ীভাবে মেরামতের চেষ্টা হলেও দুর্ভোগ কমছে না। বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় উঠে গেছে সড়কের বিটুমিন, ইট-সুরকিও। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে কোনোমতে চলছে যানবাহন। নগরবাসী বলছেন, কোথাও উঁচু, কোথাও বেশ নিচু সড়ক। আবার বছরের অর্ধেক সময় রাস্তায় চলে খোঁড়াখুঁড়ি। আর বাকি অর্ধেক সময় রাস্তা থাকে বৃষ্টির পানির নিচে, তাহলে রাস্তা সংস্কার করে কী লাভ। যদি মানুষ রাস্তা ব্যবহার করতেই না পারে, তাহলে এগুলো সংস্কারের কী প্রয়োজন। দুর্ঘটনার ভয়ে অনেকে রিকশা ছেড়ে হেঁটে পার হচ্ছেন দীর্ঘ পথ। মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো চলাচলের সময় গর্তে আটকে যায়। ফলে সীমাহীন ভোগান্তি মেনে নিয়েই চলতে হচ্ছে তাদের। ঢাকার মুগদা বিশ্বরোড এলাকার অতীশ দীপঙ্কর সড়ক থেকে মান্ডা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজ দেড় বছর আগে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। গত বছরের শুরুর দিকে কাজ শুরু হলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কার্যত কাজ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। ইট, বালু, খোয়া আর কংক্রিটের পাইপ পড়ে আছে দিনের পর দিন। সড়কটি খুঁড়ে রাখায় সে পথে চলতে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বেড়ে যায় আরও। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন লাখো মানুষ চলাচল করে। সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কজুড়ে খোঁড়া গর্ত, ভাঙা ইট-পাথর, নির্মাণসামগ্রী আর ধুলার আস্তরণে পথচারীদের হাঁটা দায় হয়ে উঠেছে। বর্ষায় কাদায় পিচ্ছিল হয়ে যায় সড়ক, আবার রোদের সময় ধুলায় চোখেমুখে যন্ত্রণা। রিকশা, অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি চলতে পারলেও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পড়ে বিপাকে। এলাকার শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষ, বৃদ্ধ ও রোগীরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের শুরুতে অনেক আনুষ্ঠানিকতা করে ড্রেনের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছিল। কংক্রিটের পাইপ এনে ফেলা হয়েছিল; কিন্তু কয়েক মাস পর কাজ ধীর হয়ে আসে, এখন একেবারে থেমে গেছে। এতে শুধু ধুলা নয়, বৃষ্টির সময় কাদা আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে।’ স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক শিউলি আক্তার বলেন, ‘সকাল-বিকেল এখানে রিকশা উল্টে পড়ছে, লোকজন মাটিতে পড়ে যাচ্ছে, কারও পা মচকাচ্ছে, কারও কোমর ভাঙছে। এতদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ির পরও কাজ শেষ হচ্ছে না। এটা কি উন্নয়ন না ভোগান্তি, বোঝা যাচ্ছে না!’ একই ধরনের অভিযোগ করেন দোকানি আবু সালেহ। তিনি বলেন, ‘আমার দোকানে ধুলা ঢুকে সব পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিক্রিও কমে গেছে। কেউ রাস্তা দিয়ে হাঁটতেই চায় না, কেনাকাটা করবে কীভাবে?’ গুলশানের লেক রোডের অবস্থাও বেহাল। নির্মাণের পর একবারও সংস্কার করা হয়নি সড়কটি। শাহজাদপুরের বাসিন্দা ইমরুল কায়েস বলেন, ‘লেকপাড়ের এ সড়কটি দিয়ে খুব সহজেই গুলশান, বনানী, বারিধারায় যাতায়াত করা যায়; কিন্তু সড়কটি দিন দিন নালায় পরিণত হচ্ছে। ঠিকমতো যানবাহন চলতে পারছে না। অথচ এ সড়কটি সংস্কার করলে প্রগতি সরণিতে গাড়ির চাপ কিছুটা কমত।’ এলাকাবাসী জানান, ১০ থেকে ১২ বছর ধরে রাস্তার তেমন কোনো সংস্কারকাজই হয়নি। এতে অনেক সড়কেরই বেহাল দশা। সিটি করপোরেশনের আওতায় আসা নতুন ওয়ার্ডগুলোর মধ্যেও রয়েছে অনেক অবহেলিত সড়ক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১ হাজার ৬৫৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে গত বর্ষায় ২১৪ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৭ কিলোমিটার ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় রয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে ১৫০ কিলোমিটার সড়ক গত বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে মেরামত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংস্থা দুটির প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু জামানত নিয়ে ঠিকাদারদের ছাড় দিলে হবে না; বাধ্য করতে হবে সময়মতো কাজ শেষ করার। নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি ঠিকাদার নিয়োগেও হতে হবে আরও কঠোর। তারা বলছেন, এসব সংস্কারকাজের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে আনতে হবে সমন্বয় ও পূর্ব প্রস্তুতি। একই সঙ্গে প্রয়োজন আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার ও দক্ষ কর্মী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নীলক্ষেত সংলগ্ন মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে টিএসসি এলাকার রাজু ভাস্কর্যের আগ পর্যন্ত রাস্তা খুঁড়ে নিচ দিয়ে ওয়াসার লাইন বসানোর কাজ চলছে। নীলক্ষেত থেকে শুরু হয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসের ওপর দিয়ে এ লাইন যাবে সচিবালয়ের দিকে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় জনভোগান্তির সমার্থক খোঁড়াখুঁড়ি আর জলাবদ্ধতা। দক্ষিণখানের হাজি ক্যাম্পের পাশের মার্কেটের ব্যবসায়ী জামান হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জন্য আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। রাস্তা উঁচু করা হচ্ছে; কিন্তু এতে জলাবদ্ধতা কমবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ তখন সড়কের তুলনায় আশপাশের ঘরবাড়ি অনেক নিচু হয়ে যাবে। যদি ড্রেন গভীর না হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবে পানি সরবে না। উলটো আমাদের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে।’ ইসিবি চত্বর থেকে মানিকদি, বাইগারটেক ও বাউনিয়া বাজার হয়ে জসীমউদ্দীন পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমটিার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। খানাখন্দ ও জলাবদ্ধ সড়কে যনবাহন উল্টে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে থাকলেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই নগর কর্তৃপক্ষের। মিরপুরে ভাঙাচোরা সড়ক উন্নয়নকাজে ধীরগতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। বিশেষ করে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নকাজের জন্য বড় বড় গর্ত ও মাটি খুঁড়ে রাখায় যানজটসহ নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ পাইকপাড়া ও পুরাতন কাজি অফিসের গলির সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নকাজ চলাসহ স্লাব দিয়ে রাখা হয়েছে। রাস্তা থেকে ড্রেনের মাটি উঁচু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। কুড়িল থেকে প্রগতি সরণি হয়ে মালিবাগ-যাত্রাবাড়ী সড়ক পিচ উঠে খানাখন্দে ভরে গেছে। খিলগাঁও ফ্লাইওভার থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে থেকে মুগদা বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কের অবস্থা আরও নাজুক। রাজধানী ঢাকার সড়কের এমন বেহাল দশা শুধু এ কয়েকটি জায়গাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বড় সড়কগুলোর পাশাপাশি নগরীর বেশিরভাগ অলিগলিও খানাখন্দে ভরে গেছে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন সংযুক্ত এলাকাগুলোর অবস্থা বেশি নাজুক। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নামমাত্র যে সংস্কার করা হচ্ছে, তা জনদুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর হচ্ছে না। কাকরাইল, নয়াপল্টন, মতিঝিল, মৌচাক, মানিকনগর, টিটিপাড়া, গোপীবাগ, মালিবাগ, রাজারবাগ, সায়েদাবাদ, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, টিকাটুলী, নারিন্দা, দয়াগঞ্জ, কমলাপুর, খিলগাঁও এবং পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সড়কে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাটারা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, নাছিরাবাদ, মোহাম্মদপুর, রাজাবাজার, মিরপুর, নতুন বাজার ও উত্তরার কয়েকটি সড়কসহ নগরীর অধিকাংশ অলিগলির সড়কের বেহাল অবস্থা। কোনোটা বছরখানেক সময় ধরে, আবার কোনোটা হয়তো কয়েক মাস ধরে পড়ে আছে একই রকম বেহাল অবস্থায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘যেসব সড়ক সংস্কার প্রয়োজন সেগুলোয় কাজ চলছে। সড়ক মেরামত দুভাবে করা হয়। কোথাও ছোট গর্ত থাকলে সেটা তাৎক্ষণিক সংস্কার করা হয়, যা তিন দিনের বেশি সময় লাগে না। আবার বড় সংস্কারের প্রয়োজন হলে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে।’ মুগদা এলাকার সড়কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসী সড়কের জায়গা না ছাড়ায় কাজ আটকে রয়েছে। রাজউকের প্ল্যান অনুযায়ী ৫০ ফুট জায়গা ছাড়ার কথা ছিল। কাজ শুরুর সময় স্থানীয়রা ৫০ ফুট জায়গা ছাড়তেই রাজি ছিলেন। কিন্তু গত বছর সরকার পরিবর্তনের পর অনেকে ৫০ ফুট থেকে একেবারে ২৫ ফুটে নেমে এসেছেন। সম্প্রতি তাদের ডেকে বৈঠক করেছি। তাদের কেউ ২৫ ফুট, কেউ ৩০ ফুট পর্যন্ত জায়গা ছাড়তে চান। তাদের পুরো সড়কে ৩০ ফুট করে জায়গা ছাড়তে বলা হয়েছে। সড়কের জায়গা ছাড়লেই দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ 
সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ 
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।  সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।  সংবাদ সম্মেলনে ঠিক কোন বিষয়ে তিনি কথা বলবেন তা স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া ফাইভজি রেডিনেস প্রকল্পে অর্থ ছাড় নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দেওয়া তার ডিও (ডেমি অফিসিয়াল) লেটার প্রসঙ্গেই তিনি গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে পারেন।  জানা গেছে, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ, টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক, জননীতি বিশ্লেষক ও প্রবন্ধকার। টেকসই উন্নয়নের নিরিখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগত দিক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ডিজাইন ত্রুটিসহ বিভিন্ন খাতের কারিগরি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সংস্কার এবং অটোমেশন তার লেখার মূল বিষয়। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ তৈয়্যব বর্তমানে সিনিয়র সফটওয়্যার সলিউশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডস-এ কর্মরত ছিলেন। 
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান
চল্লিশে পা দিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি
চল্লিশে পা দিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি
ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এক অনন্য নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক, ‘ক্যাপ্টেন কুল’, চেন্নাই সুপার কিংসের অদ্বিতীয় নেতা—যাকে ভালোবেসে দক্ষিণের ভক্তরা ডাকেন ‘থালা’। সোমবার জীবনের ৪৪ বছরে পা রাখলেন এই কিংবদন্তি।   ২০০৪ সালে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়ানো সেই দীর্ঘকেশী যুবককে দেখে কে ভেবেছিল, একদিন তিনি হয়ে উঠবেন বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটারদের একজন! ধোনি শুধু উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দারুণ ছিলেন না, ব্যাট হাতে ভারতের মিডল অর্ডারের স্তম্ভও হয়ে উঠেছিলেন। দ্রুত স্টাম্পিং আর বিখ্যাত ‘হেলিকপ্টার শট’ আজও ভক্তদের প্রিয়।   ধোনির ঝুলিতে রয়েছে ১৭,২৬৬ আন্তর্জাতিক রান, ৮২৯ ডিসমিসাল ও ৫৩৮টি ম্যাচ। ওডিআই ফরম্যাটে ধোনি ছিলেন সবচেয়ে ভয়ংকর। ৩৫০ ম্যাচে ১০,৭৭৩ রান, গড় ৫০.৫৭। ১০টি সেঞ্চুরি, ৭৩টি হাফসেঞ্চুরি আর সর্বোচ্চ ইনিংস ১৮৩*। নিচের দিকে ব্যাট করতে নেমেও ১০ হাজারের বেশি রান এবং ৫০-এর ওপরে গড়—এটাই প্রমাণ করে তিনি কত বড় মাপের ক্রিকেটার।   অধিনায়ক হিসেবে ধোনি ভারতের হয়ে ২০০টি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে জয় এসেছে ১১০টিতে। ২০১১ বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতিয়ে ভারতকে তিনি এনে দিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ গৌরব।   টি-টোয়েন্টিতেও ছিলেন সমান ধারাবাহিক। ৯৮ ম্যাচে ১,৬১৭ রান, গড় ৩৭.৬০। ২০০৭ সালে ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পেছনেও ছিল তার নির্ভীক নেতৃত্ব।   টেস্ট ক্রিকেটে ধোনি ৯০ ম্যাচে ৪,৮৭৬ রান করেছেন, গড় ৩৮.০৯। অধিনায়ক হিসেবে ভারতের হয়ে ৬০টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ২৭টিতে জয় তুলে নিয়েছেন। তার অধিনায়কত্বেই ভারত প্রথমবারের মতো আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠে আসে এবং অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশের কৃতিত্ব অর্জন করে।   ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মঞ্চেও ধোনি অনন্য। আইপিএলে ৫,৪৩৯ রান, ২৭৮ ম্যাচে গড় ৩৮.৩০। রয়েছে ৫টি আইপিএল শিরোপা ও ২টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। চেন্নাই সুপার কিংসকে তার নামের সঙ্গে যুক্ত করে তুলেছেন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে।   রাঁচির এই ছেলে দেশের জন্য দিয়েছেন নিজের সবটুকু। মাঠে তার ঠান্ডা মাথা, অনন্য কৌশল, শেষ মুহূর্তে ছক্কা হাঁকানোর দৃশ্য—সবই আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে ভাসে।   আজ জন্মদিনে ধোনির জন্য দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ভক্তের শুভকামনা। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি থেকে যাবেন চিরকালীন ‘থালা’, এক অবিস্মরণীয় নাম হিসেবে।

নতুন প্রধান নির্বাহী পেল আইসিসি

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির দায়িত্বে এলেন এক নতুন মুখ—সঞ্জোগ গুপ্তা। সোমবার (৭ জুলাই) তাকে আইসিসির সপ্তম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ক্রীড়া প্রশাসক এর আগে জিওস্টার-এর ‘স্পোর্টস অ্যান্ড লাইভ এক্সপেরিয়েন্স’ বিভাগের সিইও হিসেবে কাজ করছিলেন। আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ জানান, ‘সঞ্জোগ গুপ্তা ক্রীড়া কৌশল ও বাণিজ্যিকীকরণে বিশাল অভিজ্ঞতা নিয়ে আইসিসিতে আসছেন। তার প্রযুক্তিপ্রেম ও ভক্তদের দৃষ্টিকোণ বোঝার ক্ষমতা আইসিসির লক্ষ্যপূরণে দারুণ ভূমিকা রাখবে।’ গুপ্তা দায়িত্ব নিচ্ছেন জিওফ অ্যালারডাইসের জায়গায়, যিনি ২০২০ সালে অন্তর্বর্তীকালীনভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২১ সালে পূর্ণকালীন সিইও হন এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে সরে দাঁড়ান। আইসিসির মতে, এই পদের জন্য প্রায় ২৫টি দেশের ২৫০০ জনের বেশি আবেদন করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১২ জনের শর্টলিস্ট করে একটি বিশেষ মনোনয়ন কমিটি যাচাই-বাছাই করে একচেটিয়াভাবে সঞ্জোগ গুপ্তার নাম সুপারিশ করে, যা আইসিসির পূর্ণ বোর্ডে অনুমোদিত হয়। গুপ্তা নিজেই বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০০ কোটির মতো সমর্থন পাওয়া ক্রিকেট এখন অভাবনীয় প্রসারণের দ্বারপ্রান্তে। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি ও প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি এই খেলার বিস্তারে নতুন গতি আনবে।’ ২০১০ সালে স্টার ইন্ডিয়ায় যোগ দিয়ে যাত্রা শুরু। এরপর কনটেন্ট, প্রোগ্রামিং এবং স্ট্র্যাটেজি বিভাগ পেরিয়ে ২০২০ সালে হয়ে ওঠেন স্টার স্পোর্টসের প্রধান। গুপ্তার নেতৃত্বেই বহুভাষিক সম্প্রচার, ডিজিটাল-প্রথম কভারেজ এবং নারী ক্রীড়ার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে ভারতে খেলাধুলার দর্শনই পাল্টে দেওয়া শুরু হয়। ২০২৪ সালে ভায়াকম১৮ ও ডিজনি-স্টার একীভূত হয়ে জিওস্টার গঠিত হলে, তাকে এই নতুন ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানটির সিইও করা হয়। গুপ্তার মূল কৃতিত্বগুলো: আইপিএল ও আইসিসি ইভেন্টগুলোকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়া প্রো কাবাডি, আইএসএলের মতো ঘরোয়া লিগের জনপ্রিয়তা গড়ে তোলা প্রিমিয়ার লিগ ও উইম্বলডনের মতো আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার দর্শকভিত্তি বাড়ানো নারী ক্রীড়া ও প্রযুক্তিনির্ভর কাভারেজে অগ্রণী ভূমিকা রাখা আইসিসির হাল ধরলেন এমন একজন, যিনি মিডিয়া ও খেলাধুলার সংযোগে ভবিষ্যতের দিশা খুঁজে পেয়েছেন বহু আগেই। সঞ্জোগ গুপ্তার নেতৃত্বে আইসিসির সামনে সুযোগ—একটি আধুনিক, বৈশ্বিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নির্মাণের। এখন দেখার পালা—গুপ্তার ভিশন বাস্তবের মাঠে কতটা সফল হয়।
নতুন প্রধান নির্বাহী পেল আইসিসি

ব্রাজিলের সহকারী কোচের পদ ছাড়ছেন আনচেলত্তির ছেলে

ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে বড়সড় এক পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তির ডানহাত এবং পুত্র দাভিদে আনচেলত্তি এবার বেরিয়ে আসছেন বাবার ছায়া থেকে। প্রথমবারের মতো প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগোতে। ৩৫ বছর বয়সী দাভিদে আনচেলত্তি এরই মধ্যে অ্যাথলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপে বোটাফোগোর হতাশাজনক বিদায়ের পর বরখাস্ত হওয়া রেনাতো পাইভার স্থলাভিষিক্ত হতে রাজি হয়েছেন। ফ্যাব্রিজিও রোমানোর খবর অনুযায়ী, রোববার চুক্তি চূড়ান্ত হয় এবং আগামী সপ্তাহেই তিনি রিও ডি জেনেরিওতে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে বাবার সঙ্গে জুটি বেঁধে বায়ার্ন মিউনিখ, নাপোলি, এভারটন এবং রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবে কাজ করেছেন দাভিদে। ব্রাজিল জাতীয় দলেও ছিলেন সহকারী কোচের ভূমিকায়। তবে এবারই প্রথম নিজস্ব কোচিং স্টাফ নিয়ে পূর্ণ স্বাধীনতায় একটি দল পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। কোপা লিবার্তাদোরেস ও ব্রাজিলিয়েরাওয়ের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বোটাফোগো বর্তমানে পারফরম্যান্সের দিক থেকে সমস্যায় রয়েছে। ক্লাবটির মালিক জন টেক্সটর অনেকদিন ধরেই চাইছিলেন এমন একজনকে, যিনি আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন। দাভিদের নিয়োগে তাই বাড়ছে প্রত্যাশার চাপও। বর্তমানে ইউরোপে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন দাভিদে। তাই সামনের ম্যাচে ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে তার উপস্থিতি থাকছে না। সে ম্যাচে দলের দায়িত্ব সাময়িকভাবে থাকছে সহকারী কোচ ক্লদিও কাসাপার কাঁধে। ২০২১ সালের শেষ দিকে ক্লাবটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে কোচ বদলের হার বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। আনচেলত্তি হবেন নতুন মালিকানার অধীনে সপ্তম কোচ। এ পর্যন্ত একমাত্র লুইস কাস্ত্রোই এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন। দাভিদে আনচেলত্তির আগমন শুধু বোটাফোগোর ডাগআউটে নয়, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলেও এক নতুন যুগের ইঙ্গিত। ইউরোপের অভিজাত ঘরানার ছোঁয়া এবার রিওর ক্লাবে, যেখানে ইতিহাস আর আবেগের মেলবন্ধন। এখন দেখার পালা—বাবার মতো কিংবদন্তি হওয়ার পথে ছেলের প্রথম পদক্ষেপ কতটা সফল হয়।
ব্রাজিলের সহকারী কোচের পদ ছাড়ছেন আনচেলত্তির ছেলে

মেসিকে ধরে রাখতে তার ‘বডিগার্ড’কে দলে নিতে চায় মায়ামি!

লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন গুঞ্জন তুঙ্গে, তখন মেসির পুরোনো ‘সঙ্গী’ রদ্রিগো ডি পলকে দলে টানতে চাচ্ছে ইন্টার মায়ামি। ২০২২ বিশ্বকাপে মেসির ছায়াসঙ্গী, মাঠে-বাইরে যাকে ঠাট্টা করে মেসির ‘বডিগার্ড’ বলা হয়, সেই ডি পলকে আনতে এখন উঠেপড়ে লেগেছে মার্কিন ক্লাবটি। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মেসির সঙ্গে খেলা ডি পল কেবল মাঠেই নয়, ড্রেসিংরুমেও মেসির কাছের মানুষ। মায়ামি চাইছে, ডি পলকে দলে এনে মেসির ক্লাবে থাকা আরও নিশ্চিত করতে—এমনটাই দাবি ‘মায়ামি হেরাল্ডের’। ৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বর্তমানে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের নিয়মিত সদস্য এবং চলতি মৌসুমে লা লিগার ‘টিম অব দ্য ইয়ার’-এ জায়গা করে নিয়েছেন। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার চুক্তি থাকলেও ক্লাব এরই মধ্যে তার জন্য ১৭ মিলিয়ন ডলারের মূল্য নির্ধারণ করেছে। মায়ামির সবচেয়ে বড় সমস্যা দলগঠন এবং ট্রান্সফার রুলস। নেইমার ও ডি ব্রুইনেকে দলে টানার চেষ্টাও আটকে গিয়েছিল এমএলএসের কঠোর নিয়মে। যদিও ক্লাব মালিক জর্জে মাস বর্তমানে মাদ্রিদে অবস্থান করছেন—যা গুজবকে আরও শক্তিশালী করছে। তবে ডি পলকে দলে আনলে মধ্যমাঠে ভারসাম্য রাখতে হবে। বর্তমানে সেখানে রয়েছেন সার্জিও বুসকেতস ও বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি। ডি পলের আগমনে তাদের কাউকে হয়তো পজিশন ছাড়তে হতে পারে। তবে বুসকেতসের চুক্তি এ মৌসুমেই শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে ডি পল হতে পারেন তার যোগ্য উত্তরসূরি। ডি পল ও মেসির সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্বে আটকে নেই। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলে তারা ছিলেন অবিচ্ছেদ্য অংশ। মাঠে ডি পলের লড়াকু মনোভাব এবং রক্ষণাত্মক দৃঢ়তা মেসিকে বারবার সুরক্ষা দিয়েছে প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে—তাই তো ‘বডিগার্ড’ তকমা। মায়ামি সদ্য মন্ট্রিয়ালকে হারিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছে এবং সামনে তাদের ম্যাচ নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যলুশনের বিপক্ষে। এর মধ্যেই যদি ডি পলের মতো তারকা দলে আসেন, তবে তা হবে এমএলএসের এক বড় চমক। মেসিকে ধরে রাখতে তার ‘বডিগার্ড’ ডি পলকে দলে টানার পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে সাহসী পদক্ষেপ। যদিও চুক্তি নিয়ে জটিলতা থাকবেই, তবুও মায়ামির এই চেষ্টাই প্রমাণ করে—মেসির ছায়া যতটা মাঠে, তার চেয়েও বেশি বড় মার্কেটিং ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়।
মেসিকে ধরে রাখতে তার ‘বডিগার্ড’কে দলে নিতে চায় মায়ামি!

এজবাস্টনে পরিসংখ্যানেই লেখা ভারতের রেকর্ডের গল্প

এজবাস্টনে ম্যাচটা যেন ছিল ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। যেখানে তরুণ অধিনায়ক শুভমান গিল হয়ে উঠলেন রেকর্ড বইয়ের এক উজ্জ্বল নাম, আর পেসার আকাশ দীপ ঢেলে দিলেন স্বপ্নের পারফরম্যান্সে গড়া এক ম্যাচ। চলুন দেখা যাক পরিসংখ্যান যেভাবে দেখছে ভারতের সেই ঐতিহাসিক জয় ৩৩৬ রানের বিশাল জয় বিদেশের মাটিতে ভারতের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে হারিয়েছিল বিরাট কোহলির দল। সবমিলিয়ে এটি ভারতের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ বড় জয় এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়, ২০২৪ সালে রাজকোটে পাওয়া ৪৩৪ রানের জয়কে বাদ দিলে। ইতিহাস গড়লেন গিল মাত্র ২৫ বছর ৩০১ দিন বয়সে বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ে অধিনায়ক হিসেবে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী গিল। পেছনে ফেলেছেন সুনীল গাভাস্কারকে, যিনি ১৯৭৬ সালে নিউজিল্যান্ডে ২৬ বছর বয়সে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছিলেন। সব মিলিয়ে গিল ভারতের হয়ে টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া চতুর্থ সবচেয়ে তরুণ—তার আগে ছিলেন পাটৌদি, শাস্ত্রী ও শচীন। এজবাস্টনে ১৯ ম্যাচের অপেক্ষার অবসান এশিয়ান দলগুলোর জন্য এজবাস্টন যেন ছিল ব্যর্থতার প্রতীক। ১৯টি টেস্ট খেলে এবারই প্রথম কোনো এশিয়ান দল জয় পেল এই ভেন্যুতে। ভারতের জন্য এটি ছিল নবম ম্যাচ—সাতটি হারে, একটি ড্র, আর এবার সেই বহু কাঙ্ক্ষিত জয়। আকাশ দীপের ‘দীপজ্বালা’ ৪১.১ ওভার বল করে ১০ উইকেট—১০/১৮৭। আকাশ দীপ ছুঁয়েছেন এক অনন্য উচ্চতা। ইংল্যান্ডে ভারতের হয়ে এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এখন তার দখলে, ভেঙেছেন চেতন শর্মার ১৯৮৬ সালের ১০/১৮৮। বিদেশে ভারতের হয়ে শেষবার টেস্টে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন ইশান্ত শর্মা (২০১১, বার্বাডোসে), আর দেশ-বিদেশ মিলিয়ে শেষবার পেয়েছিলেন উমেশ যাদব (২০১৮, হায়দরাবাদে)। সিরাজ-আকাশ দীপ: ভয়ংকর জুটি নতুন বল হাতে আকাশ দীপ ও মোহাম্মদ সিরাজ দু’জন মিলে নিয়েছেন ১৭টি উইকেট। ভারতের ইতিহাসে টেস্টে নতুন বল হাতে ওপেনিং জুটি হিসেবে যৌথভাবে সর্বোচ্চ—এর আগে এমনটা ঘটেছিল ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (ইরফান-পাঠান ও জাহির খান) এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে (ইশান্ত-উমেশ)। এক ম্যাচে ভারতের রান ১০১৪! ৫৮৭ ও ৪২৭/৬—এই দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতের সংগ্রহ ১০১৪ রান, যা টেস্ট জয়ে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১৯৩৪ সালের ওভাল টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ১০২৮ রানের রেকর্ডই শুধু এগিয়ে। পেছনে দাঁড়িয়ে ঝড় তুললেন স্মিথ জেমি স্মিথের ২৭২ রান (১৮৪* ও ৮৮) ইংল্যান্ডের ইতিহাসে উইকেটরক্ষকদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। বিশ্ব ক্রিকেটে উইকেটরক্ষক হিসেবে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস—শীর্ষে আছেন জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ব্যাজবল বিপর্যস্ত বেন স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে ইংল্যান্ড ব্যাটাররা কখনও এতটা রক্ষণাত্মক হননি। চতুর্থ ইনিংসে তাঁদের ৫৪.৭% বল ছিল ডিফেন্স বা লেফট—ব্যাজবল যুগে এটিই সর্বোচ্চ। তাতেও লাভ হয়নি—ইংল্যান্ডের ৭ ব্যাটার ফিরেছেন শূন্য রানে, যা টেস্ট ইতিহাসে ইংল্যান্ডের প্রথম এবং যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এজবাস্টনের ঐতিহাসিক ম্যাচটা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এক 'স্টেটমেন্ট' জয়। নেতৃত্বে গিল, আক্রমণে দীপ, আর রানে ভাসছে গোটা দল—ভারতের ভবিষ্যৎ এখন আলোয় মোড়ানো।
এজবাস্টনে পরিসংখ্যানেই লেখা ভারতের রেকর্ডের গল্প

এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়

এজবাস্টনে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দীর্ঘদিন ধরে জয়ের মুখ দেখেনি ভারত। সেই ‘অভিশপ্ত’ ভেন্যুতেই এবার রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে শুভমান গিলের দল। এটি ভারতের ইতিহাসে বিদেশের মাটিতে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টেস্ট জয়। এই ঐতিহাসিক জয়ে প্রধান নায়ক তরুণ পেসার আকাশ দীপ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৯ রানে ৬ উইকেট এবং ম্যাচে মোট ১০ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ভেঙে দিয়েছেন তিনি। টেস্টে ইংল্যান্ডের মাটিতে এটাই কোনো ভারতীয় বোলারের সেরা ম্যাচ ফিগার। এজবাস্টনে জয়ের হতাশা দূর করেই শুধু নয়, ভারত প্রথম এশিয়ান দল হিসেবে এই ভেন্যুতে টেস্ট জয়ের কীর্তি গড়েছে। ভারতের বিশাল জয়ের পেছনে আরেকটি বড় ভূমিকা অধিনায়ক শুভমান গিলের পারফরম্যান্স। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রান করে এক টেস্টে ৪৩০ রানের অসাধারণ ইনিংস উপহার দেন তিনি। ভারতের কোনো অধিনায়ক হিসেবে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর এবং টেস্ট ইতিহাসে ব্যক্তিগতভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ এক ম্যাচে। প্রথম ইনিংসে গিলের সঙ্গে ২০৩ রানের জুটি গড়েন রবীন্দ্র জাদেজা (৮৯) এবং ওয়াশিংটন সুন্দর (৭৭)। ভারতের প্রথম ইনিংস থেমেছিল ৫৮৭ রানে। জবাবে ইংল্যান্ড ৮৪/৫ থেকে জেমি স্মিথ (১৮৪*) ও হ্যারি ব্রুকের (১৫৮) জুটিতে ঘুরে দাঁড়ালেও ৪০৭ রানে গুটিয়ে যায়। সিরাজ ৬টি এবং আকাশ দীপ ৪টি উইকেট নেন। ১৮০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিং দাপট দেখায় ভারত। গিলের ১৬১, জাদেজার ৬৯* ও পান্তের ৬৫ রানে দল থামে ৪২৭/৬-এ। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬০৮। চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। পঞ্চম দিন বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয় দেরিতে। কিন্তু তাতেও ভারতীয় পেস আক্রমণ থেমে থাকেনি। আকাশ দীপ অলি পোপ ও হ্যারি ব্রুককে দ্রুত ফিরিয়ে দেন। স্মিথ একা লড়াই করলেও শতক পাননি, থামেন ৮৮ রানে। ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২৭১ রানে। এই জয় সিরিজে ভারতকে সমতায় ফেরাল এবং লর্ডস টেস্টের আগে দিল আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি। এজবাস্টনের 'অভিশাপ' ঘুচে যাওয়ার সঙ্গে নতুন যুগের সূচনা করলেন গিল-আকাশরা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ৫৮৭ ও ৪২৭/৬ ডিক্লেয়ার ইংল্যান্ড: ৪০৭ ও ২৭১ ফল: ভারত জয়ী ৩৩৬ রান
এজবাস্টনে ভারতের ঐতিহাসিক জয়

অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।
অভিষেকেই ইতিহাস, ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের বিশ্বরেকর্ড
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের দুঃসংবাদ দিল ইউটিউব
মেটার একজন এআই প্রকৌশলীর এত আয়!
মেটার একজন এআই প্রকৌশলীর এত আয়!
স্ট্যানফোর্ডের পিএইচডি ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন আজকের ইলন মাস্ক
স্ট্যানফোর্ডের পিএইচডি ছেড়ে ব্যবসায় নেমেছিলেন আজকের ইলন মাস্ক
ক্রোম ব্রাউজারে ভয়ংকর ত্রুটির সন্ধান, যেভাবে রাখতে হবে নিরাপদ
ক্রোম ব্রাউজারে ভয়ংকর ত্রুটির সন্ধান, যেভাবে রাখতে হবে নিরাপদ
চিকিৎসাক্ষেত্রে চীনা বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সফলতা
চিকিৎসাক্ষেত্রে চীনা বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী সফলতা
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন দুই সুবিধা চালু
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন দুই সুবিধা চালু
নতুন ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ
নতুন ফিচার নিয়ে এলো হোয়াটসঅ্যাপ
বসার ভঙ্গিই বলে দেবে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন
বসার ভঙ্গিই বলে দেবে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন
আমাদের মাঝেমধ্যেই জানতে ইচ্ছে হয়, আমরা মানুষ হিসেবে কেমন? প্রায় সময় বন্ধু-বান্ধব বা আশপাশের মানুষকে আমরা এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকি। তবে মানুষ হিসেবে আপনি কেমন? এটি জানতে এখন আর বেশি সময় নিতে হবে না। কারণ সাইকোলজি বলছে, মানুষের বসার ভঙ্গি থেকে সহজেই বোঝা সম্ভব তার ব্যক্তিত্ব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এপিবি লাইভের এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে এ তথ্য।   তবে চলুন ছবি দেখে জেনে নেওয়া যাক আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন-  ১.ছবিতে বাঁ দিক থেকে ১ নম্বর ভঙ্গিতে বসা ব্যক্তির হাঁটু একসঙ্গে হলেও দুই পায়ের পাতার মাঝে থাকে দূরত্ব। এই ধরনের বসার ভঙ্গি ইঙ্গিত দেয় তিনি বেশ নির্ভার ও চিন্তাহীন প্রকৃতির। এমন ব্যক্তি কঠিন সময়েও সহজভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন। তবে তারা সাধারণত পরিকল্পনাহীনভাবে জীবন যাপন করে থাকেন। ২. ছবিতে ২ নম্বর ভঙ্গিতে দেখা যাচ্ছে পায়ের ওপর পা তুলে বসা—এমন কাউকে দেখলে ধরে নেওয়া যায়, তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী একজন মানুষ। তারা সাধারণত হাসিখুশি মেজাজের হন এবং জীবনকে উপভোগ করে কাটানোতেই গুরুত্ব দেন। ৩. ছবির ৩ নম্বর ভঙ্গি অনুযায়ী, যারা হাঁটু ফাঁক করে কিন্তু পায়ের পাতাগুলো একসঙ্গে রেখে সোজা হয়ে বসেন, তারা সাধারণত সহজে কারো ওপর ভরসা করেন না। তারা কথা বলতে ভালোবাসেন, তবে সময় নষ্ট করাকে একেবারেই পছন্দ করেন না। সময় সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী এই মানুষরা দায়িত্বের ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস হয়ে থাকেন। ৪. ছবির ৪ নম্বর ভঙ্গিতে দেখা যায়, যারা হাঁটু ও পায়ের পাতা একসঙ্গে করে সোজা হয়ে বসেন, তারা সাধারণত আত্মকেন্দ্রিক স্বভাবের হন। নিজের জগতে থাকতে পছন্দ করেন এবং প্রয়োজন ছাড়া সহজে মিশে যান না। এ ধরনের মানুষ শান্ত, ভদ্র এবং সংযত আচরণে অভ্যস্ত। ৫. ছবির ৫ নম্বর ভঙ্গিতে যারা হাঁটু ও পায়ের পাতা একসঙ্গে রেখে সোজা হয়ে সামান্য হেলিয়ে বসেন, তারা সাধারণত কাজকেই জীবনের মূল কেন্দ্রবিন্দু মনে করেন। এমন মানুষরা স্পষ্টভাষী, আত্মবিশ্বাসী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ভরপুর হয়ে থাকেন। তারা লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যেতে পছন্দ করেন।
ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান
ঢাবি শিক্ষার্থী মুন্নাছ বাঁচতে চান
দুরারোগ্য ব্যাধি লিউকেমিয়াতে আক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের ১০১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুন্নাছ আলী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সহযোগিতায় তার চিকিৎসার প্রায় পুরো টাকা জোগাড় হয়েছে। গত ৬ মাস ধরে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন তিনি।  জানা গেছে, প্রায় ৩০টি কেমোথেরাপির পর তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে ছিল। আগামী মাসে তার একটা কেমোথেরাপি বাকি আছে।  তবে, অল্প সময়ের ব্যবধানে এত কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তার নাক ও মাথার খুলির মাঝের হাড়ে ক্ষত দেখা দিয়েছে। যে কারণে কিছুদিন যাবৎ তিনি ডান চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। পাশাপাশি তার বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা তাকে ২১ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন। এতে সুস্থ না হলে তার সার্জারি করা লাগবে। চিকিৎসকরা তাকে  হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও টাকার অভাবে তাকে বাসা থেকেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যান্টিবায়োটিক ও সার্জারি মিলিয়ে তার চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা লাগবে। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষে এই টাকা জোগাড়ের সামর্থ্য না থাকায় সবার সহায়তা কামনা করেছেন মুন্নাছ। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: বিকাশ/নগদ: 01884654418 অথবা One bank Account number: 1062460000059, Account name: Md. Munnas Ali, Routing number: 165261342, Branch Name: Gulshan Islami Banking Branch