প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশে সাংবাদিকতা পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত এক মতবিনিময় ও পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতায় ব্যর্থতা ছিল উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, এই সময়ে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন ও অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিএনপি বারবার বলছে, তাদের নেতাকর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এগুলো নিয়ে আমরা কতটুকু সত্য সাংবাদিকতা করেছি—সেই আলাপ এখন হওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের জন্য আমরা চিঠি লিখছি। জাতিসংঘকে আমরা বলছি, আপনারা বাইরের বিশেষজ্ঞ দেন, তারা তদন্ত করুক—এখানে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।’
শফিকুল আলম বলেন, আগের সরকারের সময় সাংবাদিকতা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত ছিল। তবে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার সেই নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে।
এর থেকে উত্তরণের পথ খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, গত ১১ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার মুক্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা কার্যকর জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যাতে সবাই সাংবাদিকতা করতে পারে। এরই মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন অ্যাক্ট করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না। এ সময় সাংবাদিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের বিষয়েও মত দেন তিনি।
সভায় অংশ নেওয়া সাংবাদিক সংগঠন সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য আলাদা কমিশন গঠনের দাবি তোলে। তারা সাংবাদিকদের জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোরও প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের অগ্রগতি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
মন্তব্য করুন