বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বিপদ থেকে রক্ষা ৩৮৭ যাত্রীর

ভারি বৃষ্টির মধ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-১৩৮।

এরপর রানওয়ে-২৩ প্রান্তে গিয়ে ইউটার্ন নেওয়ার সময় ধরা পড়ে যান্ত্রিক ক্রটি। চাকা জাম হয়ে যায়, আটকে যায় উড়োজাহাজ। তবে বিমানের সেন্সর অ্যালার্ম বাজায় বিষয়টি বুঝতে পারেন পাইলট। তাৎক্ষণিক বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে টাগকারের (টয়িং ভেহিকল) মাধ্যমে রানওয়ে থেকে সরিয়ে অ্যাপ্রোনে নেওয়া হয় বিমানটি। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিমান চলাচল। যাত্রীদের ভাষ্য, অল্পের জন্য বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন ওই উড়োজাহাজের ৩৮৭ যাত্রী। এতে কর্তৃপক্ষের অবহেলা দেখছেন তারা। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি স্বাভাবিক বিষয়। গত বছরও এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল।

জানা যায়, সৌদি আরবের মদিনা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ (বিজি-১৩৮) শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামে অবতরণ করে। পবিত্র হজ পালন শেষে উড়োজাহাজটিতে ফিরছিলেন চট্টগ্রামের দোস মোহাম্মদ নামের এক যাত্রী। তিনি জানান, মদিনা থেকে উড়োজাহাজটি শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় উড্ডয়ন করে। চট্টগ্রামে সকাল সোয়া ৯টায় অবতরণ করে। তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। উড়োজাহাজটি অবতরণের পর ইউটার্ন নেওয়ার সময় রানওয়ের মাঝপথে আটকে যায়। দুই ঘণ্টা ধরে উড়োজাহাজে বসে ছিলাম। আমরা খুব আতঙ্কিত হই তখন।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল কালবেলাকে বলেন, বিমানটি নামার পরই যান্ত্রিক ক্রটি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় রানওয়ে সাময়িক বন্ধ থাকলেও বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। ফ্লাইটে থাকা সব যাত্রীই নিরাপদে আছেন।

তিনি বলেন, রানওয়ে-২৩ প্রান্তে পৌঁছানোর পর বিমানের চাকা জাম হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেন্সর অ্যালার্ম বাজার পর পাইলট বিষয়টি খেয়াল করেন। এরপর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমানটিকে টাগকারের মাধ্যমে রানওয়ে থেকে সরিয়ে অ্যাপ্রোনে নেওয়া হয়। এটি সামান্য ত্রুটি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই সারানো হয়। বিমানটি দুপুর ২টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, রানওয়ে ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকায় ১টি আন্তর্জাতিক এবং ৩টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সময় বিলম্বিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সালাম এয়ারের মাস্কাটগামী একটি উড়োজাহাজ (ফ্লাইট-৪০২) ৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট দেরিতে বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবির বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি হয়েছে বলেই জেনেছি। তবে সেটি খুব মারাত্মক ছিল না। তিনি আরও জানান, প্রত্যেকটি বিমান ছাড়ার পূর্বে সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

মন্তব্য করুন