বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
এটি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে ভালো সংবিধানের একটি

দেশের বিদ্যমান সংবিধানকে বিশ্বের সবচেয়ে ভালো সংবিধানের একটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সংবিধান নতুন করে লিখতে কোনো আপত্তি নেই। লেখা যেতেই পারে; কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের সংবিধান মুক্তিযুদ্ধে রক্তের বিনিময়ে লেখা ৭২-এর সংবিধান। আমি বিশ্বাস করি, এটি এখনো বিশ্বের ওয়ান অব দ্য ফাইনেস্ট কনস্টিটিয়েশন (সংবিধান)। বিতর্কিত সংশোধনীগুলো বাদ দিয়ে এটি আরও যুগোপযোগী করা সম্ভব।’ গতকাল শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) অডিটোরিয়ামে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নামের এই নিষিদ্ধ সত্তাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা সহযোগিতা করছেন, তারাও অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন।’ এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যত ভিন্নমতই থাকুক, ফ্যাসিস্ট ফিরে আসার আশঙ্কা নেই বলেও মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ যারা তথাকথিত সুশীল সমাজের নামে প্রতিনিধিত্ব করেছিল, তাদের অনেকেই স্বৈরাচারের পদলেহন করেছে। এরা সরকারের সঙ্গে একাকার হয়ে বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে।’

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ এড়াতে পারে না। এ আন্দোলনে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি ছাড়া হয়নি। গত ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার যেভাবে গুম, খুন, হত্যা, টর্চারসেল, আয়নাঘর তৈরির মাধ্যমে যে নির্যাতন করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। সারা বিশ্বের ফ্যাসিস্ট রেজিমের মুখপাত্র শেখ হাসিনা।’

ছায়া সংসদে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন—অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, উপসচিব রোকেয়া পারভীন জুই, উন্নয়ন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক হাসান জাবেদ ও সংবাদিক আহমেদ সরওয়ার। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন