বেতন বৈষম্য নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আগামী ১৩ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দাবির যৌক্তিকতা উপস্থাপনের জন্য সাক্ষাৎ করবেন তারা। এদিকে দাবি আদায় না হলে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাঁচ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব জহুর হোসেন চৌধুরী হলরুমে আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণে অন্তরায় ও সমসাময়িক সংকট নিরসন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহসভাপতি ভিপি ইব্রাহিম।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো—বেতন বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেড এবং ৬৫ হাজার ৫২৪ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য অবিলম্বে দশম গ্রেডের জিও জারি করা; সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা; চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি এবং প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি চালু করা; ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে শর্তহীনভাবে উচ্চতর গ্রেড বাস্তবায়ন; শিক্ষক সমিতির কার্যালয়কে ষড়যন্ত্রমূলক সরকারি ভূমি অধিগ্রহণ থেকে মুক্ত করা এবং অবিলম্বে নবম পে-স্কেল ঘোষণা করা।
মন্তব্য করুন