বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

‘খতমে নবুওয়ত রক্ষায় আন্দোলনের বিকল্প নেই’

কালবেলা প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ মাদ্রাসায় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর লালবাগ জোনের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : কালবেলা

ঈমান রক্ষায় আক্বীদায়ে খতমে নবুওয়ত রক্ষায় আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ।

রোববার (৬ জুলাই) রাজধানী ঢাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ মাদ্রাসায় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর লালবাগ জোনের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মুজিবুর রহমান হামীদী।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শাইখ সাজিদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী, মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। আমাদের অতীতের সকল আকাবির এই সংগঠনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের রেখে যাওয়া এই মহান দায়িত্ব, এই আমানত আজ আমাদের কাঁধে। এটি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) সারা দেশ থেকে আমাদের ডাক দিয়ে বলেছিলেন- খতমে নবুওয়তের কাজ একমাত্র এই ব্যানারের অধীনেই চলবে। আজ আমরা সেই পয়গাম আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হযরত মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, খতমে নবুওয়াত আমাদের ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে, অদম্য গতি ও দৃঢ়তা নিয়ে এই পথে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। অতীতে দেখেছি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘মানবাধিকারের’ নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত এবং ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় হ‌তে দেওয়া হ‌বে না।

উক্ত মতবিনিময় সভায় মুফতি সুলতান মুহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসূফ আশরাফ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন,জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুল কাইউম, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মুফতি মিনহাজ উদ্দিনসহ অনেকেই।

তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ঢাকা কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মানবাধিকার নামে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অতীতে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন ও ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপ করেছে। জাতিসংঘের এমন উপস্থিতি বাংলাদেশে ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থি এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে। তাই এই কার্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া যাবে না।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর,মাওলানা হামিদুল হক,মাওলানা আনোয়ারুল হক, মুফতী শামসুদ্দীন বাড়াইল, মুফতি আনিস সাহেব, মাওলানা শহিদুল আনোয়ার সাদী,মাওলানা হাবিবুর রহমান চাঁদগামী, মুফতি মুশফিকুর রহমান,মাওলানা খালেদ মোশাররফ, মাওলানা ইয়ামিন হুসাইন আজমী, মাওলানা আব্দুর রশিদ, মাওলানা ইরফান বিন রফিক, মুফতি আব্দুল মালেক, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম শেখ, মাওলানা আবু মুসা,মাওলানা আল আমীন মাসুদ, মুফতি হিফজুর রহমান,মুফতি আহসান হাবিব, মুফতি ইব্রাহিম খলিল কাওসারী, মাওলানা নুরুল করিম ইউনুসীসহ প্রমুখ।

সম্মেলন শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ, ঈমানের নিরাপত্তা এবং খতমে নবুওয়তের হেফাজতের জন্য বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

মন্তব্য করুন