নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল ঘিরে আজারবাইজান ও জাতিগত আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাত ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বরাবরই ব্যর্থ। ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আজারবাইজান আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন আর্তসাখে আক্রমণ চালায়। এভাবে শুরু হয় আজারবাইজান-আর্মেনিয় যুদ্ধ। যুদ্ধে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী আর্তসাখ দখলে নেয়। আজারবাইজানের সরকার এ যুদ্ধকে ‘আর্মেনিয়ায় শান্তি স্থাপ্ন অভিযান’ এবং ‘প্রতি আক্রমণ অভিযান’ বলে অভিহিত করে। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার সংবাদমাধ্যম এই যুদ্ধকে ‘আজারবাইজানি আগ্রাসন’ বলে আক্রমণ করে।
এমন জটিল সময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বদলে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র চোখ বন্ধ করে রাখে। তারা উল্টো আজারবাইজানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে মুনাফা করে। আজারবাইজানে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে ইসরায়েল ও তুরস্কও লাভবান হয়। আর রাশিয়া আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান—দুই পক্ষের কাছেই অস্ত্র বিক্রি করে। প্রায় দশ দিন এ যুদ্ধ চলে। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুটি এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি, মোট তিনটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যস্থতায় আজারবাইজানি রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ এবং আর্মেনীয় প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় মাস ধরে চলে আসা আজারবাইজানি-আর্মেনীয় যুদ্ধের অবসান ঘটে।
মন্তব্য করুন