ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থার (উয়েফা) বেঁধে দেওয়া আর্থিক সীমা লঙ্ঘনের দায়ে বার্সেলোনাকে আবারও মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। অঙ্কটা ১৫ মিলিয়ন ইউরো, টাকায় রূপান্তরে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২১৭ কোটি।
স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের চেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে। ব্লুজদের জরিমানার অঙ্কটা ৩১ মিলিয়ন ইউরো, যা টাকায় রূপান্তর করলে দাঁড়ায় প্রায় ৪৪৮ কোটি! এটি এক মৌসুমে কোনো ক্লাবকে করা সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা। সে দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যতিক্রমী এক রেকর্ডের সঙ্গে চেলসির নাম জড়াল। প্রিমিয়ার লিগের খরুচে ক্লাবটিকে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সংগতি রাখতে না পারার কারণে ২৮৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি খেলোয়াড়দের বেতন এবং দলবদলের পেছনে ব্যয় করায় অতিরিক্ত ১৫৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া অ্যাস্টন ভিলাকেও প্রায় ১৫৯ কোটি টাকা, ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক, লিঁওকে ১৭৯ কোটি ৬২ লাখ এবং ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমাকে ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বার্সেলোনার জন্য অবশ্য খবরটি মোটেও অপ্রত্যাশিত ছিল না। ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনার জন্য সম্প্রতি উয়েফা সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ক্লাবটি যে গত কয়েক মৌসুম ধরে উয়েফার নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু করতে পারছে না—এটা পরিষ্কার ছিল। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের অসংগতির কারণে লা লিগায় খেলোয়াড় নিবন্ধন নিয়েও জটিলতার মধ্য দিয়ে পথ চলছে কাতালান ক্লাবটি। লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের জন্য অবশ্য জরিমানা নতুন নয়। আগেও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ কারণে একটি বড় নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কাও ছিল বার্সেলোনার। কারণ, একাধিকবার নিয়ম লঙ্ঘন করা ক্লাবগুলোকে নানা নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়ে থাকে। তারপরও উয়েফা কঠোর শাস্তির পথে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিকবার নিয়ম লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে দলবদল উইন্ডোতে খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। বার্সেলোনার মতো চেলসিও সে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে ছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। আপাতত অর্থদণ্ড দিয়েই পার পেতে পারে ক্লাব দুটি।
মন্তব্য করুন