টিম বাস থেকে ড্রেসিংরুম—এরপর মাঠে এসেই ফুটবল নিয়ে অনুশীলনে তাসকিন আহমেদ। সতীর্থদের অনেকে তখন মাঠের এক এক কোণে ব্যাটিং ও বোলিং করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাসকিনকে দেখা মিলেছিল অনেকটাই বিশ্রামে। কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যে, ডানহাতি এই পেসার খেলছেন না—সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। ম্যাচের আগে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবেই একাদশে জায়গা হয়নি তার। জানা গেছে, সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই ধরনের পরিকল্পনায় থাকবেন ৩০ বছর বয়সী এ পেসার। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে লম্বা সময় চোটের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তাসকিন। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে সময় লেগেছিল তিন মাস। এরই মধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করে যান তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে ফিরেই তার ঝলকও দেখিয়েছেন। শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চেপে রেখেছিলেন। দুই মেডেনে ৪৭ রান খরচ করে নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই তার একাদশে সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেডিকেল বিভাগের চাওয়াতেই বিশ্রামে থাকতে হয়েছে তাসকিনকে। দীর্ঘদিন ধরে গোড়ালির চোটে ভুগছেন তাসকিন। গোড়ালির হাড় বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে বিদেশে চিকিৎসকও দেখান তিনি। তবে অস্ত্রোপচার এড়িয়ে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমেই চিকিৎসা পদ্ধতির পরামর্শ দেওয়া হয় তাসকিনকে। সেভাবেই এ সফরটা খেলতে হবে তার। টিম সূত্রে জানা যায়, শুধু ওয়ানডে সিরিজ নয়, প্রয়োজনে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইসিসির আন্তর্জাতিক মেডিকেল বিভাগের মানদণ্ড অনুযায়ী একজন পেসার সপ্তাহে ৩৬ ওভার বোলিং করতে পারেন। ফিটনেস অনুযায়ী, এর কিছুটা কমও হতে পারে। তবে চোট কাটিয়ে ফেরা ক্রিকেটারের জন্য সতর্কটা বেশিই। সেজন্যই এক সপ্তাহে তিন ওয়ানডে থাকায় তাসকিনকে বিশ্রামের মাধ্যমে খেলানোর কথা টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিল বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। সেভাবেই পদক্ষেপ নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচ নয়, অনুশীলনের ক্ষেত্রেও সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে নেট কিংবা অন্য কোথাও কোনো বোলিং করেননি ডানহাতি এ পেসার। কলম্বোতে প্রথম ম্যাচের পর থেকে শুধু জিম সেশনেই সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। তবে ক্যান্ডিতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আবারও একাদশে দেখা মিলবে তাসকিনের—এমনটাই নিশ্চিত করে টিম ম্যানেজমেন্ট। বড়সড় কোনো ঘটনা না এলে ছন্দময় এই পেসারকে মাঠে দেখা যাবে আবারও। অবশ্য দলে ৫ পেসার থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে খুব বেশি বেগও পেতে হচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্টকে।
মন্তব্য করুন