বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
একাকিত্বের মায়াজাল
“বাংলা কাব্যজগতে জীবনানন্দ দাশ কেবল বিষণ্নতারই কবি নন, একাকিত্বেরও কবি। তাঁর ‘পেঁচা’ কবিতায় রাতভর একা জেগে থাকে যে নিশিপাখি, সে নির্জন-নিস্তব্ধতার মহারহস্য জানে। মানুষের জানার কথা নয়। রবীন্দ্রনাথ জানেন তাঁর অনুভবের ‘জীবনদেবতা’র মহারহস্য। একা থাকার এ-রহস্য কেবল ভাববাদী দর্শনের বিষয় নয়, বস্তুবাদী দর্শনেও অন্য অর্থ জেগে ওঠে। এ-কথা দাবি করা চলে যে—একা, একাকী, একাকিত্ব মানবজীবনের এক অলঙ্ঘনীয় অভিশাপ। এমন কোনো মানুষ নেই যিনি কোনো না কোনো সময় এর রহস্যময়তায় আটকে পড়েননি। কেননা ‘দুঃখ’ এই একাকিত্বের যমজভাই। দুঃখ হচ্ছে মহাসত্য, একাকিত্বও তাই। একাকিত্ব থেকে আত্মরক্ষার একটাই পথ—বিচ্ছিন্নতার বদলে মানুষকে, সমাজকে আঁকড়ে ধরা। যতই দুঃখ আসুক মানুষের কোলাহলের দিকে ছুটে যাওয়া, মানুষের ভেতর আশ্রয় নেওয়াই সত্য। মানুষই মানুষের শান্তির ঠিকানা, অন্য কোনো কল্পিত ঠিকানা নয়।”
কবি অমিয় চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকার / আমরা অন্যের ওপর বিজয়ী হচ্ছি কিন্তু পরাজিত হচ্ছি ঘৃণার কাছে
ঘুমিয়ে থাকা ঈশ্বর
ঋতুরূপা তালুকদারের ‘শক্তির রূপরেখা’
স্বপ্ন থেকে যাক কেবল স্বপ্নই